মজলিশ আল জিন
আরবি শব্দ। আরবিতে মজলিশ বলতে বুঝায় বড় বৈঠকখানা বা সম্মেলন কক্ষ। সুতরাং বাংলায়
মজলিশ আল জিন অর্থ জিনের সম্মেলন কক্ষ।
মরুর বুকে হঠাৎ এক ফাটল বা গুহামুখ, ভিতরে বিশাল একগুহা দেখে স্থানীয়রা ভেবেছিল
এখানে জিনেরা বসবাস করে। তাই এর নাম দেওয়া হয় জিনের গুহা বা মজলিশ আল জিন।
পর্যটকরা ওমান গেলে এই জিনের গুহাটি দেখতে কখনো ভুল করেন না।
জিনের গুহাটি নতুনভাবে আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৩ সালে। ভূপৃষ্ঠের পানি নিয়ে ওমানে
এসেছিলেন আমেরিকার পানি বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম ডন ডেভিসন এবং তার স্ত্রীর চেরী এস জোনস
ডন। পানির সন্ধানে জরিপ করতে করতে ডন দম্পতি ওমানের রাজধানী মাসকাটের ১০০ কি.মি.
দক্ষিণ-পূর্বে সালমা
নামের এক দূর্গম উপত্যকায় পোঁছেন। আর এখানেই দেখতে পান এই গুহা। গুহার চেম্বারটির
দৈর্ঘ্য ৩১০ মিটার, প্রস্থ ২২৫ মিটার। গুহার সবচেয়ে গভীর অংশটি প্রবেশমুখ থেকে ১৭৮ মিটার নিচুতে। তাই বলা যায়,
চেম্বারের আয়তন প্রায় ৪০ লাখ কিউবিক মিটার, আর ফ্লোর এলাকাটি ৫৮ হাজার স্কয়ার মিটার। এ গুহার বিশালত্ব প্রকাশের জন্য বলা হয় মিসরের সবচেয়ে বড় পিরামিড অনায়াসে স্থান করে নিতে পারবে এই গুহায়। আবিষ্কারের সময় মজলিশ আল জিনকে পৃথিবী দ্বিতীয় বৃহত্তম গুহা চেম্বারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গুহার ওপরের প্রবেশমুখ ছাড়া ভেতরে ঢোকার বা বেরোনোর অন্য কোনো পথ নেই- যা এই গুহার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই দড়িতে ঝুলেই গুহায় প্রবেশ করতে হয় এবং বের হতে হয়। বর্তমানে ওমানের পর্যটক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকদের আকর্ষণ করছে এই গুহা।
No comments:
Post a Comment